শিল্প পন্য বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট বলতে আমরা যা বুঝি।
- ricoindustrialbd
- Dec 28, 2019
- 2 min read
# সব ধরনের পন্য বা প্রোডাক্টকে মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ
১। ভোগ্য পন্য ২। শিল্প পন্য।
# ভোগ্য পন্য উৎপাদনে যে সকল পন্য প্রয়োজন হয় সেগুলোকে সাধারনভাবে শিল্প পন্য বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট বলা হয়ে থাকে।
# ইন্ডাস্ট্রিয়াল পন্য কে চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যেমনঃ
১। র’ ম্যাটেরিয়াল বা কাঁচা মাল এবং পার্টস।
২। ক্যাপিটাল আইটেম।
৪। সার্ভিসেস বা পরিষেবা।
১। র’ ম্যাটেরিয়াল বা কাঁচামাল এবং পার্টস বা উপাংশঃ
উৎপাদিত ফিনিশড প্রোডাক্টের অংশ হয়ে থাকে অথবা উৎপাদন প্রক্রিয়াতে খরচ হয়ে থাকে।
# র’ ম্যাটেরিয়াল বা কাঁচামালঃ কাঁচামাল আবার তিন প্রকার হয়ে থাকে যেমনঃ
১। ফার্ম প্রোডাক্ট বা খামারে চাষ কৃত পন্য। যেমনঃ গম একটি ফার্ম প্রোডাক্ট যা আটা তৈরি শিল্পে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বা খামারে উৎপাদিত গরুর দুধ যা দুধ প্রক্রিয়াজাত করন শিল্পে কাচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
২। প্রাকৃতিক উপাদান। এ সকল কাচামাল সরাসরি প্রকৃতি থেকে আহরন করা হয়ে থাকে। যেমনঃ খনিজ পদার্থ, পানি, ক্রুড ওয়েল, নেচারাল গ্যাস, পাথর, বালু ইত্যাদি।
৩। ম্যানুফাকচারড বা উৎপাদিত কাচামাল। এ সকল কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। যেমনঃ লোহার বার বা প্লেট, পেট্রোল, ডিজেল, সিমেন্ট, কাপড় তৈরির সুতা ইত্যাদি।
# পার্টস বা উপাংশঃ এগুলোও ম্যানুফাকচারড উপাদান যা ফিনিশড প্রোডাক্টের উপাংশ বা কম্পোনেন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমনঃ নাট- বোল্ট, স্ক্রু, ইলেকট্রিক/ ইলেকট্রনিক উপাদান, ক্যাপাসিটর, ট্রান্সিস্টর, আই সি চিপ, মোটর, পাম্প ইত্যাদি।
২। ক্যাপিটাল আইটেমঃ
পন্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঁচা মাল ব্যাতিত আর যে সকল কিছু প্রয়োজন তা এই ক্যাটাগরিতে পড়বে । ক্যাপিটাল আইটেম তিন প্রকারের হয়ে থাকে যেমনঃ
১। ইন্সটলেশন।যেমনঃ ফ্যাক্টরি, অয়ারহাউজ, ইউটিলিটি সিস্টেম, কেমিক্যাল প্রসেসিং প্লান্ট ইত্যাদি।২। মেশিনারি। যার সাহায্যে উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়ে থাকে। যেমনঃ প্রোসেসিং লাইন, কনভেয়র সিস্টেম, মেশিন টুলস, পাওয়ার/ হাইড্রলিক প্রেস, মোল্ডিং মেশিন ইত্যাদি।
৩। ইকুইপমেন্ট এবং টুলস।যেমনঃ ফর্ক লিফট, ট্রাক, ক্রেন, রেঞ্ছ, পরিমাপ যন্ত্র ইত্যাদি।
৩। সাপ্লাই আইটেমঃ
সাপ্লাই আইটেম আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে।
১। মেইন্টেনেন্স এবং রিপেয়ার সাপ্লাইসঃ মেইন্টেনেন্স এবং রিপেয়ার কাজে যে সকল সাপ্লাই আইটেম দরকার হয় যেমনঃ পেইন্ট, মোটর, পাম্প, বিয়ারিং, গ্যাস্কেট, লাইনার, মেশিন ওয়েল ইত্যাদি।
২। অপারেশনাল সাপ্লাইসঃ স্টেশনারি আইটেম, কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্নাক্স ইত্যাদি।
৪। সার্ভিসেস বা পরিষেবাঃ
১। মেইন্টেনেন্স এবং রিপেয়ার সার্ভিস।২। টেকনিক্যাল সার্ভিস। যেমনঃ ইঙ্গিনিয়ারিং কনসালটেন্সি, ডিজাইন সার্ভিস ইত্যাদি।৩। অপারেশনাল সার্ভিস। যেমনঃ ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস, সিকিউরিটি সার্ভিস ইত্যাদি।৪। বিজনেস সার্ভিস। যেমনঃ লিগ্যাল সার্ভিস, সেলস এবং মার্কেটিং সার্ভিস ইত্যাদি।
Comments